মানিকগঞ্জের সঙ্গে হরিরামপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন


জরুরি খবর

মানিকগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে হরিরামপুর উপজেলার প্রধান সড়কের আন্ধারমানিক পাটগ্রাম হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলা থেকে জেলা শহরে সরাসরি যান চলাচল করতে পারছে না।

অপরদিকে, পাটগ্রাম অনাথ বন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সায়েদুর রহমান বলেন, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বকচর, জগনাথপুর, ভাওয়ারঙ্গী; বয়ড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি, খালপাড় বয়ড়া, দাসকান্দি বয়ড়া; হারুকান্দি ইউনিয়নের ভেলাবাদ, হারুকান্দি চরাঞ্চল, চানপুর;   গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চড়পাড়া, উজানপাড়া, ভাটিপাড়া, বাহাদুরপুর; কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের  গৌরবিদ্যা, কাঞ্চনপুর; চালা ইউনিয়নের দিয়াবাড়ী, হাসমিলান, দুর্গাপুর, কামারঘোনা, গোপালপুর; গালা ইউনিয়নের, কালই, গোপালপুর, ধুসুরিয়া, গাং ধুসুরিয়া, ৬ আনি গালা, গালা, বাঙ্গালা, রাজার কলতা গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে।

মানিকগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭০ সেমি ওপরে
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টের গেইজ রিডার মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, শনিবার (১৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন বলেন, মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর স্থানীয়ভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে যমুনা নদী সংলগ্ন দৌলতপুর, শিবালয় উপজেলার; পদ্মা নদী সংলগ্ন হরিরামপুর উপজেলার এবং ধলেশ্বরী সংলগ্ন সাটুরিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

হরিরামপুর, শিবালয় ও দৌলতপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার বানভাসি মানুষ খাবার, বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। পানিতে চারদিকে তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

মানিকগঞ্জের প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, বন্যায় জেলার ৭৪ বর্গকিলোমিটার প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬৮৮টি পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
Previous Post Next Post