জরুরি খবর
লেবানন থেকে দেশে ফিরবেন (৫) পাঁচশতের অধিক প্রবাসী
ওয়াসীম আকরাম, লেবানন থেকে :- বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে লেবানন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক দুতাবাসে নাম নিবন্ধনকৃত প্রবাসীদের। আগামী ২ আগষ্ট থেকে ৮ আগষ্টে কাতার এয়ারলাইন্সের মোট ৭টি ফ্লাইটে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন প্রবাসী দেশে ফিরবে বলে জানিয়েছে লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস। ২ ও ৩ আগষ্টের দুইটি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন লেবাননের ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৮৫ জন ও কারিতাশের অধীনে থাকা ৪জন প্রবাসী। বাকিরা সবাই গত বছর দেশে ফিরতে এক বছরের জরিমানা ও বিমান টিকেটের টাকা জমা দিয়ে দূতাবাসে নাম নিবন্ধনকারী।
গত বছরের সেপ্টেম্বর কাগজপত্রহীন প্রবাসীদেরকে এক বছরের জরিমানা ও বিমান টিকেট টাকা পরিশোধ করে বিশেষ সুযোগে প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রবাসী দেশে ফেরতে নাম নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রবাসী দেশে ফিরতে পারলেও বাকিরা করোনাভাইরাস সংক্রমনের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশে ফিরতে পারেননি।
দূতাবাসের প্রথম সচিব ( শ্রম) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিমান গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে আসন না থাকায় ফ্লাইট করতে বিলম্ব হচ্ছে। বহু চেষ্টার পর কাতার এয়ারলাইন্স এ ৭টি ফ্লাইটে আসন মিলেছে। এই ফ্লাইট গুলোতে সিরিয়াল আনুযায়ী পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ শত প্রবাসী দেশে ফিরতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, দূতাবাস বিভিন্ন বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, এভাবে বাকিদেরও পাঠানো হবে। তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধারণ্ করতে অনুরোধ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম সচিব বলেন, পিসিএর টেস্টে যাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসবে, অবশ্যই তাদের ফ্লাইট বাতিল হবে এবং তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে। সুস্থ হবার পর পুনরায় অন্য কোন ফ্লাইটে তাদের দেশে পাঠানো হবে। সে জন্য সঠিক বলতে পারছিনা কতজনকে দেশে পাঠাতে পারবো। তবে টার্গেট অনুযায়ী পাঁচশত থেকে সাড়ে পাঁচশত জন এর মধ্যে আমরা পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি।
ইতিপূর্বে আইওএম(IOM) এর পক্ষ থেকে দুই হাজার প্রবাসীকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে পাঠানোর জোর আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে দু, হাজার প্রবাসীর নামও জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কোন কারণে লেবানন থেকে বাংলাদেশীদের কোন বিশেষ ফ্লাইট হয়নি।
অন্যদিকে লেবাননে অর্থনৈতিক সংকটে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার প্রবাসী। গত পহেলা জুলাই থেকে বৈরুতের বিমানবন্ধর চালু হওয়ার পর লেবানন ছাড়তে শুরু করেছে বৈধ প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় বিপাকে রয়েছে আকামাহীন অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কর্মহীন হয়ে পড়ায় খেয়ে না খেয়ে কোন রকম দিন কাটাচ্ছে অধীকাংশ প্রবাসী। দেশে ফিরতে চান তারা। বাংলাদেশ দূতাবাস সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন লেবাননে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
সূত :প্রতিদিন বৈরুত
Tags
প্রবাসী খবর