কুয়েতে দূতাবাসের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের জিম্মি ও ভিসা বাণিজ্যর অভিযোগ


জরুরি খবর :সামির খাঁন

দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার ও ফরিদ হোসেন ও আনোয়ার সাদাত ড্রাইভিং লাইসেন্স, আউট পাস, ভিসা সত্যায়ন ও আকামা নবায়নের ক্ষেত্রে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।

দুর্নীতি দমন কমিশনে একাধিক ভুক্তভোগীর করা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, কোন প্রবাসী টাকা দিতে রাজি না হলে পুলিশে দিয়ে হয়রানি এবং দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হতো। বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা জালিয়াতি করে অবৈধ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ইউরোপ ও বাংলাদেশে।

ফরিদ হোসেন গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে বহুতল ভবনসহ ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। অপর দিকে তৌহিদুল ইসলাম চট্রগামে ৫টি বহুতল ভবন ও ৪৬ বিঘা জমির মালিক।

আনোয়ার সাদাত কুয়েতে মুদি দোকানের মালিক। দূতাবাসে চাকরি করে ব্যবসা করার রীতি না থাকলেও কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুলের ভিসা বানিজ্যর সহযোগিও ছিলেন তারা। দূতাবাসের হয়ে কুয়েতের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করিয়ে দিতেন।

তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার ও ফরিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দুদকে যেহেতু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা তদন্ত করে দেখুক আসলেও আমরা জড়িত কিনা।

দূতাবাস কর্মকর্তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : Padma News
Previous Post Next Post