জরুরি খবর
লেবাননে বাংলাদেশী প্রবাসী সচিব আব্দুল আল মামুন তিনি সচিব হয়েও লেবানন প্রবাসীদের নামে গুজব ছড়িয়ে দেন দ্য ডেইলি স্টারে। যেখানে প্রবাসীরা কাজে গিয়ে কাজ করে টাকা না পেয়ে ঘরে বসে রয়েছে এমন অনেকে আছে যে তিন চার মাস যাবত কাজ করেছে টাকা দিচ্ছে না আর সচিব আব্দুল আল মামুন বলেছেন লেবানন প্রবাসীদের অনেকের নাকি বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে |
সাফারায় নাম দিয়া প্রবাসীরা লিরা দিয়েছিল জরিমানা জন্য আর টিকেটের জন্য দিয়েছিল ডলার কিন্তু সচিব বলেছে লিরা ফেরত দেওয়া বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তারা ডলার নয়, লিরা জমা দিয়েছিল। যা জমা দিয়েছিল, সেটাই ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
দেশে ফিরে আসা ৭১ জনের মধ্যে চার জন প্রবাসী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের থেকে ৩০০ ডলার করে জমা নেওয়া হয়েছিল, লিরা নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দূতাবাস ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০০ ডলার জমা দিতে বলেছিল, লিরা নয়।’ লেবাননে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি ১৩০ জে পরিবহন উড়োজাহাজে ৭১ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন। আবার বিদেশে যেতে সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজে আসায় আমাদের ভাড়া লাগেনি। কিন্তু, আমরা তো ৩০০ ডলার উড়োজাহাজ ভাড়া দিয়ে আগেই নিবন্ধন করেছিলাম। দুঃখের কথা কী বলব, ফেরার সময় আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার লিরা। সেই সময় এই পরিমাণ লিরা দিয়ে ৩০০ ডলার কিনেছিলাম। এখন কেনা যাবে ৫৫-৬০ ডলার। আমরা তো ডলার জমা দিয়েছিলাম, লিরা ফেরত দেওয়া হলো কেন? লিরা ফেরত দিলে যত লিরা দিয়ে ৩০০ ডলার কেনা যাবে, তত ফেরত দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের কথা শোনার কেউ নেই। নিঃস্ব হয়ে লেবানন থেকে ফিরেছি।’
এখন দূতাবাস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, নিবন্ধিতদের উড়োজাহাজ ভাড়া হিসেবে আরও ৫০ ডলার জমা দিতে হবে। এমন একজন কাগজপত্রহীন শ্রমিক টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘কাজ নেই, এক বেলা খাই তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। রাতে কীভাবে ঘুমাই তা শুধু আমরাই জানি। অনেক কষ্টে এক্সিট ফি ও উড়োজাহাজ ভাড়া ৫৬৭ ডলার জোগাড় করে নিবন্ধন করেছিলাম। এখন ৫০ ডলার কিনতে লাগবে প্রায় চার লাখ লিরা। কোথায় পাব এই টাকা? কীভাবে দেশে ফিরব? দূতাবাস তো আমাদের কোনো কথাই শুনছে না।’
এ বিষয়ে শ্রমসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলছিলেন, ‘উড়োজাহাজের টিকিটের দাম বেশি। এ কারণেই ৫০ ডলার নেওয়া হচ্ছে।’
এই মাসে টিকেটের দাম খুব হলে 2000 লিরা তাও হাই কোয়ালিটির বিজনেস ক্লাসের আর দূতাবাস বলছে কি টিকেটের দাম অনেক বেশি। কিন্তু ৩০০ ডলারে তো ২৫ লাক্ষ লিরার বেশি হয়। যদি টিকেট দাম দিয়েও কিনে তবেও ৫ লাক্ষ লিরা থাকে কিন্তু দূতাবাস আরো ৩৫০ লক্ষ লিরা মানে ৫০ ডলার নিচ্ছে এইটা কি দুর্নীতি নয় |
আগেও লেবাননের দূতাবাসের সচিব আব্দুল আল মামুনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে দূতাবাসে প্রবাসীরা যখন বিপদের জন্য যায় তখন তিনি অনেক খারাপ ব্যবহার করেন এমনকি বিপদে পড়া প্রবাসীর সাথে কথা বলতেও তিনি টাকা চান নাম বলতে ভয় পায় অনেকেই জানিয়েছেন এই সচিবকে তাড়াতাড়ি লেবানন থেকে পরিবর্তন করা হোক |