মো: ইমরুল হাসান, রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
হোসাইন , বয়স ৫ বছর । জন্মের পর থেকেই দুটি পায়েই বাঁকা । প্রতিবন্ধি এই শিশু চলাফেলা করে হামাগুড়ি দিয়ে । দিন মজুর বাবা আশিকুর এক মাত্র ছেলের জন্মের পর থেকে চিকিৎসা করালেও তার ছেলের বাঁকা পাঁ দুইটি ভাল হয়নি।!
ছেলের চিকিৎসার পিছনে অনেক টাকা - পয়সা খরচ করলেও তাকে পুরােপুরি সুস্থ করতে পারেনি। তার মা তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বাড়িতেই কোন রকমেই পড়ালেখা করায় ।
হোসাইনের বাব আশিকুর দিনমজুরির কাজ করে বৃদ্ধ মা , স্ত্রী - সন্তানসহ চার সদস্যের সংসারে কোন রকমেই জীবন - জীবিকা করছেন । অসহায় এই গরীব দিনমজুর বাবার সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানাের অবস্থা । সেখানে একমাত্র প্রতিবন্ধি সন্তানের জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না ।
ছেলে বড় হয়ে যাচ্ছে তারপরেও অসহায় এই পিতার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি একটি হুইল চেয়ার কিনে দেবার স্বামর্থ । তাই চেয়ারম্যান ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে অসহায় এই পিতার আবেদন ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ার পাবার জন্য ।
দিনমজুর আশিকুর আমাদের এক প্রতিবেদক কে বলেন , মুই মানষের বাড়ি কামলা দিয়া খাই । কামলা খাটিয়া যা পাও তা দিয়া ৪ জনের সংসার অনেক কষ্টে খায়া না খায়া বেঁচে আছ ভাই । একটা মাত্র ছােয়া মাের । অভাবের ছোয়া জন্য কোনার জন্য এখ্যান হুইল চেয়ার কিনে দিবার পাং না । সরকারে হােক আর অন্য কাইও যদি মাের ছোয়াডাকে এ্যাখান চেয়ার দিলে হয় ভাইও মুই খুব খুশি হনু হয় ।
অসহায় এই পিতার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১০ নং বালুয়া মাসিমপুরের পলিপাড়া গ্রামে । জন্মের পর থেকেই তার ছেলের দুটি পাঁ অচল । কোন রকমেই মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে । দরিদ্র এই পরিবার একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য না থাকায় ছেলের জন্য চেয়ারম্যান ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন বাবা আশিকুর ।
হোসাইনের মা আমাদের প্রতিবেদক কে বলেন....
মাের ছেলে সােগ সময় মাটিত হাংগুর দিয়া এ ঘর - বাইরত বের হয় । এ্যাখান হুইল চেয়ার হইলে ছেলে মাটিত থাকার কষ্ট দুর হইল হয় গাে ভাই । ছেলে কোন বড় হবাইছে , চেয়ার না থাকলে বড় হয়া ক্যাদন করি চলবে এমন চিন্তায় ঘুমবার পাং না । কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই কথাগুলাে বললেন ।
প্রতিবেশি রবিউল আলম, আব্দুল কাশেম, মতিন মিয়া জানান , কোন রকমেই দিন মজুরের কাজ করে যা আয় করে তা দিয়েই সংসার চলে । এ বছর শিশুটির প্রতিবন্ধী ভাতার এখন ব্যবস্থা করাও হয়নি । যদিও বা চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে এই বিষয়ে বলা হয় তারা বলে বয়স কম। বয়স ১০ বছর হলে প্রতিবন্ধী ভাতা করা হবে। তাই সমাজের কোন দানশীল বিত্তবান , মহৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি অসহায় শিশুটিকে একটি হুইল চেয়ার দিয়ে সহযােগিতা করে তাহলে প্রতিবন্ধি এই ছেলেটির অনেক বড় উপকার হবে দাবী জানান এ প্রতিবেশি ।
Tags
দেশের খবর