মো: ইমরুল হাসান, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
কিছুদিন আগেও পটলের দাম না পেয়ে রংপুর চাষিদের মধ্যে হাতাশা বিরাজ করছিল। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই পটলের দাম পেয়ে এখন খুশি তারা।
রংপুর জেলা মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন
ইউনিয়নের মাঠে এখন পটলের মাচার সমারোহ। চাষিরা পটলের ভালো দাম পাওয়ায় ব্যস্ত পরিচর্চায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় একমাস আগে প্রকার ভেদে প্রতিমণ পটল ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তা এখন প্রকারভেদে প্রতিমণ ১২০০-১৩০০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
১০ নং বালুয়া মাসিম ইউনিয়নের পলিপাড়া গ্রামের পটলচাষি সাখাওয়াত বলেন, এ বছর পাঁচ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছি। জমি চাষ, সার, ওষুধ, শ্রমিক ও মাচা তৈরিতে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
২০-২৫ দিন আগে যে পটল ৪০০-৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি তা এখন ১২০০-১৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। বর্ষায় পটল উৎপাদন ভালো হয় এবং দামও পাওয়া যায়। পাঁচ কাঠা জমি থেকে ২০-২৫ হাজার টাকার পটল বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তিনি।
মিলনপুর ইউনিয়নের কৃষক সবুজ বলেন, ১০ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছি। রোগাবালাই তেমন না থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। দামও বেশ ভালো। মাসখানেক এ দাম থাকলে বেশ লাভবান হতে পারবো।
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে পটলের উৎপাদন হয়েছে। পটলের খুব একটা রোগ বালাই হয় না। এরপরও কৃষকদের খরচ কমাতে কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে কীটনাশক মুক্ত সবজি পাওয়া যায়।
Tags
দেশের খবর