কারা কেন ব্যর্থরাষ্ট্র করতে চাইছে লেবাননকে



জরুরি খবর
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র রাষ্ট্র লেবানন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সঙ্ঘাতের শিকার হয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এক বছর আগে বৈরুতে ভয়াবহ ট্যাংকার বিস্ফোরণে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা আরো প্রকট করে তোলে। গত এক বছরে তিন দফা সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয় দেশটিতে। কিন্তু রাজনৈতিক পক্ষগুলোর বিরোধে সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির ৯ মাসব্যাপী সরকার গঠন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বৈরুত বিস্ফোরণের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ১০ আগস্ট, ২০২০-এ হাসান দিয়াবকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ হলে নাজিব মিকারি নতুন সরকার গঠনের প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

অব্যাহত পতনের দিকে ছুটে চলা
লেবানন ক্রমবর্ধমান সঙ্কটে অব্যাহতভাবে পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে এর শুরু, কোভিড মহামারী এ সঙ্কট আরো জটিল ও গভীর করে। আর বিধ্বংসী বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণ পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি ঘটায়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই অপারমাণবিক বিস্ফোরণে ২০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হন। শহরের কেন্দ্রস্থলে বেশ কয়েকটি এলাকা ধ্বংস হয়ে যায়।

এ ঘটনার এক বছরের মাথায় তীব্র জ্বালানি, খাদ্য ও পানি সঙ্কট এখন লেবাননী জনজীবনকে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে ২০১৮ সালে লেবাননের ৫৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ২০২০ সালে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমে গেছে ৪০ শতাংশের মতো। ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনীতি ৬.৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হওয়ার পর ২০২০ সালে ২০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ২০২০ সালেই মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয় ১২৯ শতাংশ। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায় ৮৪.৩ শতাংশ। কিছু খাদ্যসামগ্রীর দাম ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ২০২১ সালে জিডিপি আরো ৯.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে যাবে বলে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছে, লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দা সম্ভবত ১৫০ বছরের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

লেবাননের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, ২৫ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। জাতিসঙ্

Post a Comment

Previous Post Next Post