জরুরি খবর:
লকডাউনের কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলছে আজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।পর্যটকদের দেওয়া হচ্ছে হোটেল গুলোতে ৩০-৬০ শতাংশ ছাড়।
কক্সবাজারের পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে চান। এ জন্য গ্রাহক-দর্শনার্থী আকৃষ্ট করতে রিসোর্ট, বিনোদন পার্কগুলোর ফেসবুক পেজে চলছে ‘বুস্টিং। চলছে নানা ধরনের ছাড়ের অফার। বিভিন্ন ধরনের সেবার ওপর ৫০/৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।
রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও বিনোদন পার্কগুলোতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সাড়ে পাঁচ মাস পর কাল বৃহস্পতিবার থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে ১৯ ও ২০ আগস্টের জন্য অর্ধেক ধারণক্ষমতার রুম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সরকার পর্যটন খাত চাঙা করতে আজ থেকে অর্ধেক ধারণক্ষমতা খোলা রেখে বিনোদন পার্ক এবং পর্যটন এলাকার রিসোর্ট,হোটেল-মোটেল খোলার অনুমতি দিয়েছে।
এ দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারসহ দেশের পর্যটন গন্তব্যে সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো দৈনিক ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে চায়। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস বাংলা, নভোএয়ার প্রতিদিন ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।যাত্রীদের চাপ আছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউসের প্রস্তুতি শেষ। পর্যটক টানতে হোটেলগুলো ৩০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত কক্ষভাড়ায় ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ, রেস্তোরাঁ মালিকদের সাতটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ছাড়ের কারণে বেশ সাড়াও মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকের পছন্দের জায়গা টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের মারমেইড বিচ রিসোর্ট। এই রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিডি সমাচার কে জানান, তাঁরা কক্ষ ভাড়ায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
তারকা মানের হোটেল সি-গাল, সায়মান বিচ রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইস, কক্স-টুডে, লং বিচসহ বিভিন্ন হোটেলে কক্ষ ভাড়ায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুারিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বিডি সমাচার কে বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে থাকবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম। বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। সরকারি নির্দেশনা মতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রসমূহে আসার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি।
তিনি আরও বলেন, সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলি, কবিতা চত্তর, ইনানী ও পাটুয়ারটেক-এই ৬টি পয়েন্টে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের শক্তিশালী টিম।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘করোনার এই দুঃসময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমরা রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও বিনোদন পার্কগুলোর মালিকদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, স্বাস্থ্যবিধি না মাললে বিকল্প চিন্তা করতে বাধ্য হবো। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রে ৫০ শতাংশ আসন ব্যবহার করতে বলা হয়।