অতি বর্ষণে ভেড়ামারার পানি বন্দী হাজার হাজার মানুষ!


মোঃ কামরুজ্জামান , কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ।


গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বর্ষণেই এবছর সাম্প্রতিক অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ডুবে গেল ভেড়ামারা শহর। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার তুমুল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা প্রকট রুপ নিয়েছে পৌর এলাকায়।
পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিই ডেকে আনলো বন্যা। পদ্মা, হিসনা নদীর পানি বৃদ্ধির সমান্তরালে শহর এলাকায় পানি বৃদ্ধি ঘটছে বিপজ্জনক গতিতে। মানুষের ঘর-বাড়ি, দোকান-পাটই শুধু নয় তলিয়ে গেছে সড়ক ও মসজিদের ওযু ঘর আর মেঝে। দোকানে পানি ঢুকে পশু হাসপাতাল সংলগ্ন মারিয়াম ফার্মেসীর পোল্ট্রি ফিল্ডের ১১ টি বস্তা ভিজে নষ্ট হয়ে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতির কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম।
পৌরসভার সর্বাধিক পানিবন্দী মানুষের এলাকা পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান সবুজ জানান, তার বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িতে হাঁটু পানি। এমতাবস্থায়, চন্ডীপুর বাঁধ কেটে দিয়ে প্রতিবার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলেও এবার জিকে খালে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় বাঁধ কাটলে হিতে বিপরীত হবে। খালের পানি শহরে প্রবেশ করে বানভাসি অবস্থা হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাঁধ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকে।
আজকের বৃষ্টিতে ভেড়ামারা পৌরসভার বড় মসজিদ এলাকাসহ প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডবাসীই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এমতাবস্থায়, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীনেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পৌর মেয়র এর সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উপায় বের করতে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন।  প্রয়োজনে ভেড়ামারা শহর রক্ষায় পানি নামাতে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ভেড়ামারা পাম্প হাউজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। জিকে পাম্প হাউজ পদ্মা থেকে পানি টানা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করলে চন্ডীপুর বাঁধ কাটা সম্ভবপর হবে। চন্ডিপুর বাঁধ না কাটা পর্যন্ত মুক্তি মিলছে না জলাবদ্ধতা থেকে।
যা বাস্তবায়নের জন্য দরকার দ্রুত ও কার্যকর সমন্বিত পরিকল্পনা।

Post a Comment

Previous Post Next Post