মো: ইমরুল হাসান, রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী যাত্রীবাহী বাস ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৮১০ নম্বরের হানিফ এন্টার প্রাইজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ সীমানায় বিটিসি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসের ড্রাইভার মনজুর হোসেন (৬২) ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে নিহত ও লিটন ইসলাম নামে এক যাত্রী আহত হয়। নিহত ড্রাইভার রাজধানী ঢাকার লালবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া ও মৃত মজনুর ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসের সুপার ভাইজার পইমুল ইসলাম, হেলপার বুলবুল, আহত যাত্রী লিটন ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে হানিফ নামের যাত্রীবাহী বাস পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত ৯টার দিকে যাত্রীবেশে ৩ জন ডাকাত বাসে উঠে। অনুমান রাত ১০টার দিকে চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও ২ ডাকাত যাত্রীবেশে বাসে উঠে। রাত ২টার দিকে বাসটি পীরগঞ্জ সীমানার ধাপেরহাট নামক স্থানের সন্নিকটে এলে ড্রাইভারের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে ডাকাতদল। এতে ড্রাইভার প্রতিবাদ করলে ডাকাতদল উপর্যুপরি চালককে ছুরিকাঘাত করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। অপরাপর ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে ১৪ থেকে ১৫টি মোবাইল ফোন ও ৫০ হতে ৬০ হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাঁধা দিলে যাত্রী লিটন ইসলামের দুই হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। বাসটি মহাসড়কের বড়দরগাহ ভাবনা ফিলিং স্টেশনে এসে উল্টো পথে আবারও ঢাকামূখী চলতে থাকে। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে পলাশবাড়ী-পীরগঞ্জ সীমানার সন্নিকটে চকশোলাগাড়ি বিটিসি মোড়ে ডাকাত দল বাস আটকিয়ে নির্বিগ্নে চলে যায়। এ সময় আহত ড্রাইভার ও যাত্রীকে নিয়ে জনৈক এক যাত্রী বাসটি পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড্রাইভারকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ড্রাইভারের লাশসহ, আহত যাত্রী ও কোচটি পীরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামান জানান, নৈশকোচের সুপার ভাইজার পইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
Tags
দেশের খবর