জরুরি খবর: সামির খাঁন
লেবাননে নতুন সরকার গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। এই ১৩ মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর, সংকট-লেবানন অবশেষে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন করেছে দেশটি। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন "আর্থিক অবনতি রোধে এই সরকার গঠন ব্যান্ড-এইডের ভূমিকা পালন করবে।"।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিকাতি এবং তার সরকারের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থামাতে লেবাননকে অনেক কিছু করতে হবে। তবে খুব দ্রুত এই পরিবর্তন আনা অনেকটাই অসম্ভব। শীঘ্রই আশার আলো দেখবে না দেশটির অর্থনীতি।
বৈরুতের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইসাম ফারেস ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক ইয়েগিয়া তাশজিয়ান আল জাজিরাকে বলেন, ‘‘সরকারের প্রথম কর্তব্য হলো প্রথমে দেশের সংকট মোকাবেলা করা তারপর দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা’’।
এর আগে লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী, নাজিব মিকাতি শুক্রবার বলেন যে, তিনি তার দেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয় থামাতে তাঁর ক্ষমতা বলে সবকিছুই করবেন। এক বছরের অধিক সময় পরে বর্তমান সরকার গঠনের ঘোষণা দেবার পর, তিনি বিভাজিত রাজনীতিকদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট বৈরুত নৌবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের পর লেবাননে পরিপূর্ণ শক্তিশালী কোন সরকার ছিল না। আর সেই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলি সেই থেকে নতুন সরকারের গঠন কি হবে সেই নিয়ে মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়ে যে কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে।
Tags
দেশের খবর