ইবিতে সিনিয়রকে পেটালো, জুনিয়র শিক্ষার্থী।


 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা বাঁশ দিয়ে পেটাতে উদ্যত হলে আটকাতে গিয়ে এক ছাত্রলীগ নেতা হাতে আঘাত পেয়েছেন।


শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের সাদ্দাম হোসেন হল সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য বেলা সোয়া ১২টায় তাদের নিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বসেন।সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ও লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফ, একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মারুফ ও তার বন্ধু প্রিন্স একসঙ্গে ছিলেন।কথা বলার এক পর্যায়ে মারুফ অন্যমনস্ক হলে আরিফ তার গালে-মুখে হাত দিয়ে তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এতে মারুফ ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে মারতে উদ্যত হন। পরে প্রিন্স তাকে আটকান এবং সেখান থেকে নিয়ে যান। তবে মারুফের দাবি, আরিফ কে থাপ্পড় মারার কারণে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।পরে রাত ১১টায় মারুফ ও প্রিন্স লালন শাহ হলে আরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ক্ষমা চান।

পরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় আরিফের বন্ধুরা মারুফকে ডাকেন। এসময় আরিফের বিভাগের বন্ধু আবদুল্লাহ, আবু তালেব, আলম, আবুজার, অনুপম ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হানিফসহ ৭/৮ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাঝে কথা কাটাকাটা হলে একপর্যায়ে হানিফ মারুফকে চড়-থাপ্পড় মারেন।পরে মারুফ তার বন্ধু ও সিনিয়রদের ডাকেন। এসময় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিমুল, ২০১৮-১৯ শিক্ষবর্ষের হলের মাসুদ, রিয়ন, মারুফের বন্ধু প্রিন্স, ফয়সাল, ধ্রুবসহ অন্তত ৩০ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে মারুফের বন্ধু ধ্রুব, সিনিয়র মাসুদসহ কয়েকজন আরিফসহ তাদের কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এরপর অভিযুক্তরা বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হলে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মজুমদার ঠেকাতে গিয়ে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরে ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান, হোসাইন মজুমদারসহ সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর বেলা ১২ টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে উভয়কে ছাত্রলীগ নেতারা ডাকেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন জোয়ার্দার, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, বিপুল খান, হোসাইন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরাফাত ও বিপুল খান মারুফকে চড়-থাপ্পড় মারেন।

ভূক্তভোগী আরিফ হোসেন বলেন, রাতে মারুফের সাথে কথা বলার সময় বারবার অন্যদিকে তাকাচ্ছিল। তখন মারুফের মুখে হাত দিয়ে আমার দিকে সরিয়ে দৃষ্টি আকর্শনের চেষ্টা করি। তৎক্ষণাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। শুক্রবার সকালে আমার বন্ধুরা মারুফকে বোঝানোর জন্য ডাকে। পরে মারুফ তার বন্ধু ও সিনিয়রদের ডেকে আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।মারুফ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আরিফ ভাই আমাকে থাপ্পড় মারে। তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হলেও পরে রাত ১১ টার দিকে ভাইয়ের হলে গিয়ে ক্ষমা চাই। শুক্রবার সকালে ভাই আবার কল দিয়ে আমাকে ডাকে। এসময় তাদের একজন আমাকে থাপ্পড় মারে। পরে আমার বন্ধুরা কয়েকজন সিনিয়রকে জানায়। তারপর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কে কাকে মেরেছে আমি খেয়াল করিনি। আমি মাঠে অন্য পাশে বসে ছিলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনা কিছুই জানিনা। ক্যাম্পাসে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post