বালিয়াকান্দিতে মীরমশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী পালিত

 

মোঃ সুজন হোসেন কালুখালী রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বাংলা সাহিত্যে অমর দিকপাল,কালজয়ী উপন্যাস কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত বিষাদ সিন্ধর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামের মীরের সমাধিস্থল মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রে  জন্মবার্ষিকীতে দিনব্যাপী আনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক মুহম্মদ নুলুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আনুষ্ঠানমালায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এস.লোকমান. আলোচক হিসেবে ছিলেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাসুদুজ্জামান ও অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্বা মোঃ আবুল কালাম আজাদ।অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান।

অতিথিরা প্রথমেই নবাবপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন মীরের সমাধিস্থলে প্রবেশের পথে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি তোরণ উদ্বোধন করেন। 

পরে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদাসহ আমন্তিত অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মীর মশাররফ হোসেন। জন্মের পরেই  বালিয়াকান্দিতেই বেড়ে ওঠেন তিনি।১৯১১ সালে ১৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুরের পদমদীতেই সামাধিত করা হয়।  

বাংলা সাহিত্যর এই অমর দিকপাল বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যকদের পথিকৃৎ। কারবালার যুদ্ধকে  উপজীব্য করে রচিত বিষাদ সিন্ধু তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকম। এ পযন্ত মীর মশাররফ হোসেনের মোট ৩৬ টি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।

জমিদার দপণ, গোরাই-ব্রিজ অথবা গৌরী-সেতু,বসন্তকুমারী নাটক, বিষাদ-সিন্ধু,বেহুলা গীতাভিনয়,উদাসীন পথিকের মনের কথা, তাহমিনা, টালা অভিনয়, নিয়মিত কি অবনতি,গাজী মিযার বস্তানী,মৌলুদ শরীফ মুসলমানদের বাঙ্গালা শিক্ষা,বিবি খোদেজা বিবাহ, হযরত ওমরের ধমী জীবন লাভ,মদিনার গৌরব, বাজীমাৎ সহ নানা বিখ্যাত গ্রন্থের কারুকার তিনি।