মানিকগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী

 


মানিকগঞ্জ ঘিওরে লায়লা আরজু হত্যার ২ দিনের মধ্যে হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি নিহত লায়লার স্বামী সেকেন্দার আলী খান।

শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘিওর উপজেলার রাথুরা এলাকার সেকেন্দার আলীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা দেওয়ায় পারিবারিক কলহের রেজে স্ত্রী লায়লা আরজুকে তার স্বামী গলা কেটে হত্যা করে । হত্যার অভিযোগে স্বামী সেকেন্দার আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে লায়লা আরজুর (৬০) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে পরদিন ১৬ জানুয়ারি ঘিওর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেকেন্দার আলী খানকে পুলিশ ঘিওর থানায় নিয়ে যায়।

মামলা রুজু হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম মুকুল, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), ঘিওর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ অভিযানিক টিম নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে আসামী মো. সেকেন্দার আলী খানকে (৬৬) বানিয়াজুরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার স্ত্রী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত এবং জরায়ু অপসারণ করা হয়েছিল। ২০২২ সাল থেকে লায়লা অসুস্থ ছিল। আসামি সেকেন্দারের চর্মরোগ ছিল তাই আসামি ও তার স্ত্রী আলাদা রুমে থাকতো। স্ত্রীর এর সঙ্গে আসামির শারীরিক সম্পর্ক না থাকায় সেকেন্দার তার স্ত্রীকে আবার বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু লায়লা বিয়ে করতে বাধা দেয়।

গত ১৪ জানুয়ারি রাতে খাওয়ার পর স্ত্রী লায়লার সঙ্গে আসামি সেকেন্দারের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে করা নিয়ে ঝগড়া হয়। ১৫ জানুয়ারি সকাল পৌনে ছয়টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী লায়লাকে কে আসামি সেকেন্দার ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। লায়লা ফ্লোরে পড়ে গেলে তার স্বামী রান্না ঘর থেকে ফল কাটার ছুরি এনে স্ত্রীর গলায় ৩টি খোঁচা দেয়, রক্ত বের হতে লাগলে লায়লার ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে আসামি সেকেন্দার বাড়ি হতে বের হয়ে বাজারের দিকে চলে যায়। আসামি বাজার থেকে সাড়ে ৮ টার দিকে এসে নিচ তলার সবাইকে ডেকে বলে লায়লা রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।


আসাাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় বলে জানায় পুলিশ।

Post a Comment

Previous Post Next Post