মানিকগঞ্জ যুবলীগ নেতা হত্যায় দায়↵ স্বীকারকরলেন পরকীয়া প্রেমিকা সাজেদা


 মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর গ্রামে মো. আমজাদ হোসেন (৩৮) হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন সেই রহস্যময়ী নারী আমজাদ হোসেনের পরকীয়া প্রেমিকা গৃহবধূ সাজিয়া বেগম ওরফে সাজেদা (৪৮)।

১৭ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ আটক করে। ঐ রাতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমজাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালত সোপর্দ করা হয়। শুনানীর পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে


তবে সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর থানায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাজিয়া বেগম ওরফে সাজেদা বেগম আমজাদকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিহত হন সরফদিনগর গ্রামের বেলায়েত হোসেন ছেলে আমজাদ হোসেন। ১১ তারিখ সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে পরকীয়া প্রেমিকা সাজিয়া বেগম ওরফে সাজেদা বেগমের নাম। সে একই গ্রামের উজ্জ্বল খানে দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনার একদিন পর থেকেই গা ঢাকা দেন সাজিয়া বেগম। সোমবার সন্ধ্যার পর সে নিজ বাড়ি সরফদিনগর আসলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে।

এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, "সাজিয়া বেগম ওরফে সাজেদা বেগমকে প্রাথমিকভাবে পরকীয়া প্রেমের গুঞ্জন থেকে সন্দেহবশত আটক করা হয়েছিল। আটকের পর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আমজাদ হোসেনকে হত্যার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন। একই গ্রামে বসবাসের সুবাধে আমজাদ হোসেনের সাথে চলতে ফিরতে তাদের মাঝে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সেই গভীর সম্পর্কে মান- অভিমান, ঝগড়া- বিবাদ সবই ছিল । এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে মান অভিমানের মধ্যে দিয়েই আমজাদ হোসেনের ওপর একটা চাপা ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয় বলে স্বীকার করেন সাজিয়া বেগম ওরফে সাজেদার। সেই ক্ষোভ থেকেই এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডে গড়ায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।"

এ ঘটনার সাথে আরও কোনো বিষয় আছে কিনা, সব বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান

Post a Comment

Previous Post Next Post